খবরের বিস্তারিত...


শহীদ বুদ্ধিজীবী হত্যা দিবসের আলোচনা সভা সম্পন্ন–ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ।

ডিসে. 15, 2022 সাংগঠনিক খবর

বাঙালি জাতিকে মেধাশুন্য করতে পাক বাহিনী নির্বিচারে বুদ্ধিজীবী হত্যার নীলনকশা করেছিল,চট্টগ্রাম মহানগর ইসলামিক ফ্রন্টের বুদ্ধিজীবী হত্যা দিবসের আলোচনা সভায় -এড. নাছের তালুকদার।

ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ এর কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান জননেতা এড.এম আবু নাছের তালুকদার বলেছেন-বিশ্ব ইতিহাসের এক কলংকজনক অধ্যায় হচ্ছে শহীদ বুদ্ধিজীবি হত্যার মত ন্যাক্কারজনক ঘটনা। ১৯৭১ সালের সুদীর্ঘ ৯ মাসের অবিরাম সশস্ত্র যুদ্ধে পাক হানাদাররা যখনই বাঙালির চুড়ান্ত বিজয়ের প্রসববেদনা টের পেলো, তখনই জাতির শ্রেষ্ঠ সম্পদ ও দেশের অগ্নিগর্ভা সন্তান বুদ্ধিজীবীদের নির্বিচারে হত্যায় মেতে উঠে। পাকিস্তানের মেজর জেনারেল রাও ফরমান আলী এদেশের ২০ হাজার বুদ্ধিজীবীকে হত্যার পরিকল্পনা করে। যে ধারাবাহিকতায় ১৪ ডিসেম্বরের এ দিনে সর্বাধিক সংখ্যক বুদ্ধিজীবী হত্যা করা হয়েছিল। নাতিদীর্ঘ সময়ের ব্যবধানে এত বুদ্ধিজীবীর জিবনাবসান ২য় বিশ্বযুদ্ধ ব্যতীত অন্য কোথাও সংঘটিত হয়েছে বলে মনে হয়না। পাক দুঃশাসন- অপশাসন এর বিরুদ্ধে যেসব বুদ্ধিজীবীরা ছিলেন সোচ্চার কন্ঠ, যাঁরা স্বীয় জ্ঞানজ্যোতি বিচ্ছুরিত করে জাতিকে আলোর পথ প্রদর্শন করেছেন, মূলতঃ তাঁরাই হয়েছিলেন হানাদার বাহিনীদের অবাঞ্ছিত টার্গেট। অনস্বীকার্য বাস্তবতা হলো, পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর এ লোমহর্ষক হত্যাযজ্ঞে নির্লজ্জভাবে পৃষ্টপোষকতা করে তাদের এদেশীয় দোসর কমবখত রাজাকার, আলবদর, আলশামস বাহিনী। কিন্তু অত্যন্ত দূঃখজনক হলেও সত্য যে, বাংলাদেশে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের রাষ্ট্রীয় কোন সঠিক তালিকা নেই। আমরা অবিলম্বে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের একটি সঠিক তালিকা প্রকাশের জন্য সরকারের নিকট জোর দাবি জানাচ্ছি।
অদ্য ১৪ ডিসেম্বর ২২ইং বুধবার বিকেল ৫ টায় সংগঠনের মোমিন রোড সালমা ভবনস্থ কার্যালয়ে ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ চট্টগ্রাম মহানগরীর উদ্যোগে শহীদ বুদ্ধিজীবী হত্যা দিবসের আলোচনা সভায় তিনি উপরোক্ত মন্তব্য করেন। ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ চট্টগ্রাম মহানগর সভাপতি এইচ এম মুজিবুল হক শাকুর এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ এর কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান এডভোকেট আবু নাছের তালুকদার। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- স ম হামেদ হোসাইন, অধ্যক্ষ মাওলানা ছৈয়দ জসিম উদ্দিন তৈয়বী, এস এম আব্দুল করিম তারেক, আলহাজ্ব আলম রাজু, আলহাজ্ব খান এ সবুর, মাওলানা শহিদুল হক ফারুকী, মাওলানা ওয়াহেদ মুরাদ, মাওলানা এ এম মঈনউদ্দীন চৌধুরী হালিম, ডাঃ হাসমত আলী তাহেরী, আনিসুল ইসলাম, মাওলানা মহিউদ্দীন তাহেরী, মাওলানা মাসুদ করিম চৌধুরী, আব্দুর রহিম, আলহাজ্ব ইলিয়াছ খান ইমু, কাউসারুল ইসলাম সোহেল, আব্দুল্লাহ আল মুমিন ও শহিদুল ইসলাম প্রমূখ।

[related_post themes="flat" id="1878"]