খবরের বিস্তারিত...


২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেট নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন সৈয়দ বাহাদুর শাহ

এক শতাংশ শোষকদের তোষণ করে এ বাজেট গরীব মানুষের হতাশা বাড়াবে। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যদ্রব্যের মূল্য কমাতে হবে। রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের বিশেষ প্রণোদনা ও মসজিদের ইমাম-মুয়াজ্জিনদের জাতীয় পে-স্কেলের আওতায় আনার জোর দাবি।

— আল্লামা সৈয়দ বাহাদুর শাহ মোজাদ্দেদী, চেয়ারম্যান- ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ।

২০২১-২২ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ চেয়ারম্যান আল্লামা সৈয়দ বাহাদুর শাহ মোজাদ্দেদী। তিনি প্রস্তাবিত বাজেট পাশ হলে খাদ্যসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যদ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধির আশঙ্কা জানিয়ে বলেছেন, বৈশ্বিক মহামারী করোনাকালে কর্মসংস্থানহীন মানুষ দিনদিন গরীব থেকে হতদরিদ্র পর্যায়ে নেমে এসেছে। দ্রব্যমূল্য মানুষের নাগালের সীমা পেরিয়ে আকাশচুম্বি হয়ে পড়েছে। এমন অবস্থায় সরকার দরিদ্র বান্ধব বাজেট প্রস্তাব না করে এক শতাংশ ধনী ও শোষক শ্রেণীর তোষণের বাজেটে গরীব মানুষের হতাশা তীব্র হবে। মোবাইল ব্যাংকিং খাত নগদ অর্থ লেনদেনে নিত্যপ্রয়োজনীয় মাধ্যম হওয়ায় ইতিপূর্বেই এ খাতে মানুষকে শোষণ করে রক্তচোষা হয়েছে। সাধারণ মানুষ ও সুশীল সমাজ এ খাতে খরচ কমানোর দাবি জানালেও প্রস্তাবিত বাজেটে করপোরেট কর বাড়ানোর প্রস্তাবে মানুষের জন্য মরার উপর খাড়ার ঘা হয়ে দাঁড়াবে। রেমিট্যান্স-যোদ্ধাদের দেশপ্রেম বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভে দুর্বার গতি আনলেও সরকার বরাবরের মতো প্রবাসীদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়সমূহ এড়িয়ে গেছে। করোনা কালে কর্মসংস্থানহীন ও দেশে আটকে পড়া রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের জন্য বিশেষ প্রণোদনা ও সহজ শর্তে ঋণদান বাড়াতে হবে। কালো টাকা সাদা করার সুবিধা সীমিত রাখায় সরকার প্রশংসার দাবি রাখে, কিন্তু এটা পুরোপুরি বন্ধ না হলে অবৈধ অর্থপ্রবাহ উৎসাহিত হবে। বাজেট শিল্পবান্ধব হলেও এতে দেশের এক শতাংশের বেশি মানুষ উপকৃত হবে না। অন্যদিকে করোনা মোকাবিলা ১০ হাজার কোটি টাকার তহবিল ও প্রণোদনার প্রস্তাব করা হলেও স্বাস্থ্যখাতসহ প্রশাসনে দুর্নীতি বন্ধ না করা গেলে এ থেকে জনগণ উপকৃত হবার সম্ভাবনা নেই বলে দাবি করেন ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ চেয়ারম্যান। তিনি আরো বলেন, শিল্পখাতের পাশাপাশি পর্যটন, কৃষি ও মৎস্যচাষে গুরুত্ব দিলে দেশের সাধারণ মানুষ আত্মকর্মসংস্থানে মনোযোগী হবে। আল্লামা সৈয়দ বাহাদুর শাহ মোজাদ্দেদী সারাদেশের মসজিদের খতীব, ইমাম, মুয়াজ্জিন ও খাদেমদের ন্যুনতম বেতন স্কেলের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন।

[related_post themes="flat" id="1616"]