
ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূতকে তলব করে সকল ব্যবসায়িক ও কুটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার দাবী- আল্লামা জুবাইর
ফ্রান্সে সৃষ্ট মানবিক বিপর্যয়ে অবিলম্বে জাতিসংঘকে কঠোর পদক্ষেপে এগিয়ে আসার আহবান
———-অধ্যক্ষ আল্লামা জয়নুল আবেদীন জুবাইর।
ফ্রান্সে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে অবমাননা করে ব্যঙ্গচিত্র প্রকাশের প্রতিবাদে ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ ও ইসলামী ছাত্রসেনা সিলেট জেলা ও মহানগর শাখার যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশের প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন শায়খুল হাদীস অধ্যক্ষ আল্লামা জয়নুল আবেদীন জুবাইর। সমাবেশের প্রধান অতিথির আলোচনায় তিনি বলেন, প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ব্যঙ্গচিত্রে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা দেয়ায় ফ্রান্স প্রেসিডেন্ট ইম্মানুয়েল ম্যাক্রনকে ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চাওয়া এবং এ ধরনের অপকর্ম ত্যাগ করার অঙ্গীকার করতে হবে। ফ্রান্স মূলত এ ব্যঙ্গচিত্র প্রদর্শন করে তাদের চিরায়ত মুসলিম বিদ্বেষি মনোবৃত্তিরই বহি:প্রকাশ করেছে। এ ঘটনাকে ইতিহাসের জঘন্য বর্বরতা এবং গোটা বিশ্বে জাতিগত সহিংসতা ও হানাহানীকে উস্কে দিবে বলে ধারণা পোষণ করছেন। একটি সভ্য রাষ্ট্রের খোলসে এরূপ শিষ্টাচার বহি:ভুত অমানবিক কর্মকান্ডে কেবল মুসলমানের হৃদয়ে আঘাত করে নাই হৃদয়ের অনবরত রক্তক্ষরণ কোন ভাবে থামানো যাচ্ছে না। ফ্রান্সের মুসলমান নির্যাতন, সাময়িক ভাবে মসজিদ বন্ধ করা, মসজিদের পুলিশি অভিযান, মুসলিম রমনীর হিজাব প্রকাশ্যে টেনে খুলে ফেলা, ধর্মচ্চায় বাধাদান করে প্রত্যক্ষ মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে। ফান্সের মুসলমানরা চরম নিরাপত্তাহীনতার মধ্য দিয়ে দিনাপাত অতিক্রম করছে। ফ্রান্সের মুসমি জাতি ক্লান্তিলগ্নে জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সাংস্থর সমূহের ভূমিকা নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেন। অবিলম্বে ফ্রান্সের মুসলমান নির্যাতন বন্ধে আন্তর্জাতিক সংস্থা জাতিসংঘ, ওআইসি, সার্কসহ সকলের হস্তক্ষেপ ও কুটনৈতিক তৎপরতার মাধ্যমে ফ্রান্সের মুসলিম বিদ্বেষী অপৎপরতার বিরুদ্ধে দায়িত্বশীল ভূমিকার জন্য উদাত্ত আহবান জানান।
বিশেষ ভাবে ওআইসিসহ মুসলিম বিশ্বের নের্তৃবৃন্দকে কার্যকর ও বলিষ্ট ভুমিকার উপর গুরুত্ব আরোপ করেন। সরকারের নিকট দাবি করেন বলেন ফ্রান্সের সকল পণ্য আমদানী এবং বাংলাদেশে ফ্রান্সের দূতাবাস বন্ধ করতে হবে। জাতীয় সংসদে বিরুদ্ধে নিন্দা প্রস্তাব আনতে হবে। রাষ্ট্রদূতকে তলব করে সকল ব্যবসায়িক ও কুটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করতে হবে।