খবরের বিস্তারিত...


সরকারী নির্দেশনার যথার্থ অনুসরণ ও আল্লাহর নিকট তওবা করার আহবান

মার্চ 20, 2020 সাংগঠনিক খবর

করোণা ভাইরাস থেকে মুক্তি পেতে আগ্রাবাদ সি.ডি.এ জামে মসজিদে অনুষ্ঠিত দোয়া মাহফিলে-অধ্যক্ষ আল্লামা জুবাইর––
আতংকিত না হয়ে সরকারী নির্দেশনার যথার্থ অনুসরণ ও আল্লাহর নিকট তওবা করার আহবান
ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ এর কেন্দ্রীয় মহাসচিব জাতীয় নেতা অধ্যক্ষ আল্লামা জয়নুল আবেদীন জুবাইর বলেছেন- প্রাণঘাতি সংক্রামক “করোনা ভাইরাসের” ভয়াবহতা এখন মহামারি আকার ধারন করে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়েছে ক্রমাগতভাবে। এযাবত এ ভাইরাসের অশুভ শিকারে পরিণত হয়েছে প্রায় ১৭৫ টি দেশ । জিবনবিনাশী এ ভাইরাসের বিষাক্ত ছোবলে ইতোমধ্যে হাজার-হাজার মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে। এখনও ক্রমশঃ দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হচ্ছে লাশের মিছিল। ইতোমধ্যে বাংলাদেশেও এটির প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। মরণঘাতি এ ভাইরাসের স্থায়ী কোন প্রতিষেধক না থাকায় এটির মোকাবিলায় আক্রান্ত সকল দেশই কিন্তু আত্নসচেতনতার উপর জোর দিয়েছে । তাই বাংলাদেশেও আত্নসচেতনতার লক্ষ্যে সরকার ও চিকিৎসা বিষয়ক সার্জন প্রদত্ত যাবতীয় নির্দেশনার প্রতি অধিকতর গুরুত্বারোপ করতে হবে । এছাড়াও আল্লাহর দরবারে সকলকে তাওবা করার আহবান জানিয়ে তিনি আরও বলেন,- জ্বর,সর্দি-কাঁশি জনিত রোগীর চিকিৎসাক্ষেত্রে চিকিৎসকদের অপারগতা ও অনীহা সংক্রান্ত গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ সত্যিই দূঃখজনক। চিকিৎসকদের উপর যদি আতংক ভর করে কিংবা তাদের দায়সারা ভূমিকা পরিলক্ষিত হয়,তাহলে কস্মিনকালেও এটির মোকাবিলা সম্ভব নয়। খোদার পরে একজন রোগীর নিকট চিকিৎসকই হচ্ছে অন্যতম ভরসাস্থল। তাই সকল কিছুর উর্ধ্বে উঠে একজন রোগীকে নিরবচ্ছিন্ন সেবা দেয়া একজন চিকিৎসকের দায়িত্ব-কর্তব্যের মধ্যেই পড়ে।
তাই এ বিষয়ে অধিকতর নজরদারি বৃদ্ধি করতে সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সদয় দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। আবার এ সুযোগে এক শ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ী নিত্য পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি করে বাজারে অস্থিরতা সৃষ্টির পাঁয়তারায় লিপ্ত রয়েছে। যা নাগরিক জীবনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে তিনি শংকা প্রকাশ করেন। অতএব এ বিষয়টিকেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে কঠোর নজরদারির আওতায় আনতে হবে বলে মন্তব্য করেন। অদ্য ২০ মার্চ ২০২০ ইং রোজ শুক্রবার বাদে জুমা আগ্রাবাদ সি ডি এ জামে মসজিদে হাজার-হাজার মুসল্লিদের নিয়ে অনুষ্ঠিত দোয়া মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন। প্রাণঘাতি করোনা ভাইরাস থেকে বাংলাদেশ সহ বিশ্ব মানবতার সুরক্ষায় খতমে ইউনুস পরিবেশন, আল্লাহর দরবারে তওবাকরণ সহ বিশেষ মুনাজাত করা হয়। এসময় হাজার- হাজার মুসল্লিদের কান্নার আওয়াজে আকাশ-বাতাস ভারী হয়ে উঠে।

[related_post themes="flat" id="1371"]