রাষ্ট্রীয়ভাবে পবিত্র জশনে জুলুস পালন করা এখন সময়ের দাবী —- জননেতা এম সোলায়মান ফরিদ।
ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ (চেয়ার) ও ইসলামী ছাত্রসেনা চট্টগ্রাম জেলার উদ্যোগে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (দঃ)উদযাপন উপলক্ষে চট্টগ্রাম আন্দরকিল্লা মোড় থেকে বিশাল জশনে জুলুস অনুষ্ঠিত হয় ।
অর্ধ লক্ষ নবী প্রেমিকদের নিয়ে এই জুলুস অনুষ্ঠিত হয় ।জশনে জুলুছে ব্যানার,ফেস্টুন নিয়ে মোটরসাইকেল, ট্রাক ও পায়ে হেটে মুসলিম ধর্মাবলম্বী বিভিন্ন বয়সের মানুষ অংশগ্রহণ করেন। জুলুসটি চট্টগ্রাম নগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করেন। জুলুসের নেতৃত্ব দেন ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ এর যুগ্ম মহাসচিব জননেতা এম সোলায়মান ফরিদ, চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক জননেতা এইচ এম মুজিবুল হক শুক্কুর সহ ইসলামিক ফ্রন্ট চট্টগ্রাম জেলার সংসদীয় আসনের সম্ভাব্য প্রার্থীরা ।
রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় জশনে জুলুসে ঈদে মিলাদুন্নবী উদযাপনের আহ্বান জানিয়ে বক্তারা বলেন, মহানবী দুনিয়ায় শুভাগমন জগৎবাসী ও মানবজাতির জন্য আল্লাহ পাকের বিশেষ অনুগ্রহ রূপ। তাই, কৃতজ্ঞতার শুকরিয়া হিসেবে আমরা ঈদে মিলাদুন্নবী (দ.) উদ্যাপন করি। ১৯৭৪ সাল মুতাবেক ১৩৯৪ হিজরিতে কয়েক হাজার ধর্মপ্রাণ মুসলমান নিয়ে দরবারে সিরিকোটের তৎকালীন সাজ্জাদানশীন, গাউসে জামান, আল্লামা সৈয়্যদ মুহাম্মদ তৈয়্যব শাহ (র.)’র নির্দেশ ও রূপরেখা অনুসরণ করে আনজুমান ট্রাস্ট চট্টগ্রাম থেকে সর্বপ্রথম এই জশনে জুলুছ সংস্কৃতির প্রবর্তন করেছিল। যা আজ চট্টগ্রামের ঈতিহাস-ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অঙ্গে রূপ নিয়েছে।
বিশ্বের ২য় বৃহত্তম মুসলিম রাষ্ট্র হিসেবে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (দঃ) উদযাপন উপলক্ষে পবিত্র জশনে জুলুস জাতীয়ভাবে উদযাপনের দাবী জানান ।ইসলামের ধারক প্রিয় নবী (দ) এর বেলাদত দিবস নিঃসন্দেহে বিশ্ব মুসলিমের জন্য এক মহা আনন্দের। পবিত্র এই দিবসটির জন্য তাবৎ মুসলিম মিল্লাত তীর্থের কাকের ন্যায় অপেক্ষামান থাকে। সকল ঈদের খুশি–আনন্দের চেয়ে অপেক্ষাকৃত এ দিবসেই সর্বাধিক উৎসবমূখরতা প্রকাশ পেয়ে থাকে। জশনে জুলুসের মাধ্যমে বিশ্ব মুসলমানদের মধ্যে ভ্রাতৃত্বের পারস্পরিক সেতুবন্ধন রচিত হয় নির্দ্বিধায়।
ঈদে মিলাদুন্নবী (দ.) উপলক্ষে আয়োজিত বিশাল বর্ণাঢ্য জশনে জুলুস পরবর্তী সমাবেশে বক্তারা উপরোক্ত মন্তব্য করেন।
[related_post themes="flat" id="1171"]