খবরের বিস্তারিত...


রাষ্ট্রীয়ভাবে জশনে জুলুস উদযাপনের দাবী — অধ্যক্ষ আল্লামা জয়নুল আবেদীন জুবাইর

প্রিয় নবী (দ.) এর শুভ আবির্ভাব কেবল মুসলিম সম্প্রদায় নয়,বরং তাবৎ জাতি-গোষ্ঠির জন্য কল্যাণস্বরূপ।
প্রথিতযশা আলেমেদ্বীন, শায়খুল হাদীস মুফাচ্ছেরে কোরআন অধ্যক্ষ আল্লামা জয়নুল আবেদীন জুবাইর বলেছেন,-পৃথিবীপৃষ্টে যখন মানবজাতির অত্যন্ত দুঃসময় বিরাজমান ছিল, যখন মানুষের কোন হিতাহিত জ্ঞান ছিল না, যখন মানুষ আপন কন্যা সন্তানকে জীবন্ত কবর দিতো, ঠিক তেমনি এক কঠিন সময়ে ৫৭০ খৃষ্টাব্দের ১২ই রবিউল আউয়াল সোমবার হযরত মা আমেনার কোল আলোকিত করে এ ধরাপৃষ্টে শুভ আবির্ভাব হয় মানবতার ত্রাণকর্তা প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ (দ.) এর। এমনকি তাবৎ আরব বিশ্ব যখন পৌত্তলিকতার ঘোর অন্ধকারে নিমজ্জিত ছিল, তখনই মহান আলাহতায়ালা তাঁকে গোটা পৃথিবীর কল্যাণরূপে প্রেরণ করেছিলেন। অতঃপর তিনি সর্বপ্রকার অন্যায়-অত্যাচার, জুলুম-নির্যাতন, অসত্য-অসুন্দর, কূপমণ্ডুকতা-কুসংস্কার তথা যাবতীয় মানবতা বিধ্বংসী কর্মকান্ডের অপনোদন ঘটিয়ে গোটা দুনিয়াকে সকলের বাসযোগ্য আবাসস্থলে পরিণত করেন। সুতরাং প্রিয় নবী (দ.) এর শুভ আবির্ভাব কেবল মুসলিম সম্প্রদায় নয়, বরং তাবৎ জাতি-গোষ্ঠির জন্য কল্যাণস্বরূপ বলে মন্তব্য করে তিনি আরও বলেন,- তাঁর পবিত্র আগমন সমাগত হলে তা উদযাপনে মুসলমানরা পাগলপারা হয়ে যায়। নবী প্রেমিকদের বাঁধভাঙ্গা উচ্ছাস ও রক্তে নাচন ধরানো উত্তেজনা পরিলক্ষিত হয়। সর্বত্র যে উৎসবমূখরতা প্রকাশে পেয়ে থাকে, তা নিঃসন্দেহে মুসলিম মিল্লাতকে নবীপ্রেমে অধিকতর উজ্জীবিত ও উদ্দীপ্ত করে। কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয়! ইসলামী খোলসে একটি চিহ্নিত মহল নবী প্রেমিকদের এ উৎসবমূখরতার বিপরীতে অবাঞ্চিত বিষোদঘার এর মাধ্যমে মুসলিম মিল্লাতের মধ্যে পারস্পরিক বিভাজন সৃষ্টির অপপ্রায়াস চালাতে থাকে। অথচ বিশ্বের দেশে দেশে অত্যন্ত আড়ম্বরপূর্ণ পরিবেশ ও মহাসমরোহে দিবসটি উদযাপিত হয়ে থাকে। বিশ্বের ২য় বৃহত্তম মুসলিম রাষ্ট্র হিসেবে এদিবসটি জাতীয়ভাবে উদযাপনের দাবী জানান তিনি। বাংলাদেশ আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াত এর উদ্যোগে অদ্য ১৬ নভেম্বর ২০১৮ইং রোজ শুক্রবার সকাল ৮টায় পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (দ.) উপলক্ষে আয়োজিত বিশাল বর্ণাঢ্য জুলুস পরবর্তী সমাবেশে তিনি উপরোক্ত মন্তব্য করেন। উল্লেখ্য যে, জুলুসটি সকাল ৮টায় কাটগড় বায়তুর রহমত মসজিদ চত্বর থেকে শুরু হয়ে আগ্রাবাদ বাদামতলী মোড়ে এসে সমাপ্তি হয়। জুলুসে সর্বস্তরের নবী প্রেমিক মুসলমানরা অংশগ্রহণ করেন। কলেমা ও দরূদ খচিত রঙবেরঙের ফ্যাস্টুন ব্যানারে আবৃত গাড়ি বহর নগরীতে এক ভিন্নমাত্রা সংযোজন করে। অসংখ্য মুসলমান দরূদ, গজল, নাত, হামদ পরিবেশনের মাধ্যমে নবী প্রেমের বহিঃপ্রকাশ ঘটায়। দেশের প্রথিতযশা আলেমেদ্বীন, মুফাচ্ছেরে কোরআন, শায়খুল হাদীস হযরতুলহাজ্ব অধ্যক্ষ আল্লামা জয়নুল আবেদীন জুবাইর এর ছদারতে অনুষ্ঠিত জশনে জুলুসে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন,-ইসলামিক ফ্রন্ট নগর সভাপতি আলহাজ্ব এইচ.এম.মুজিবুল হক শুক্কুর, ইসলামিক ফ্রন্ট নগর সাধারণ সম্পাদক এম.মহিউল আলম চৌধুরী, হাজী মোহাম্মদ আলম রাজু, তৈয়বীয়া ইসলামিক মিশন বাংলাদেশ এর প্রতিষ্ঠাতা আলহাজ্ব এ এম. মঈন উদ্দীন চৌধুরী হালিম, সুন্নী সমাজ কল্যান পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব আক্কাস উদ্দীন খোন্দকার, আলহাজ্ব মাওলানা আব্দুর রহিম তৈয়বী, ডা: হাসমত আলী তাহেরী, আলহাজ্ব মুহাম্মদ আব্দুর রহিম, আলহাজ্ব এইচ.এম.সাদেক, আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের নেতা আলহাজ্ব হাফেজ মাওলানা নিজাম উদ্দীন, হাফেজ হারুনুর রশীদ, আব্দুল্লাহ আল রেজা, সাইফুল ইসলাম লিটন,আকরাম উদ্দীন, ইসলামী ছাত্রসেনার সভাপতি কাজী সুলতান আহমদ, সাধারণ সম্পাদক হাফেজ মো: মুনির, মাওলানা মুহাম্মদ আমিনুল ইসলাম ও মুহাম্মদ আরমান প্রমুখ। জুলুস পূর্ব সমাবেশে অধ্যক্ষ আল্লামা জুবাইর ১২ রবিউল আউয়াল বন্দও নগরী চট্টগ্রামে আল্লামা সৈয়দ মুহাম্মদ তাহের শাহ ম.জি.আ. এর ছদারতে ঐতিহাসিক জশনে জুলুস সহ দেশের ঈদে মিলাদুন্নবী দেশের সকল জশনে জুলুস সমূহ সফল করার জন্য নবী প্রেমিক দের প্রতি উদাত্ত আহবান জানান। মিলাদ-কিয়াম ও আখেরী মুনাজাতের মাধ্যমে জুলুস সমাপ্তি হয়।

[related_post themes="flat" id="1135"]