খবরের বিস্তারিত...


উৎসবমুখর পরিবেশে ঢাকায় ইসলামিক ফ্রন্টের কর্মী সম্মেলন ও নির্বাচনী সংলাপ অনুষ্ঠিত

অক্টো. 01, 2018 সাংগঠনিক খবর

রাজধানীর ইনস্টিটিউশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (আইইবি) মিলনায়তনে ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ আয়োজনে কর্মী সম্মেলন ও নির্বাচনী সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়। এতে সারা দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে বিপুল সংখ্যক নেতা-কর্মী অংশ নেয়।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও ১৪ দলীয় জোটের প্রধান সমন্বয়ক, স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম।
ইসলামিক ফ্রন্টের চেয়ারম্যান পীরে তরিকত আল্লামা সৈয়দ বাহাদুর শাহ মুজাদ্দেদীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা শায়খ খন্দকার গোলাম মাওলা নকশেবন্দী, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি, ব্যারিস্টার মুহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল ও জাসদের সেক্রেটারি জেনারেল নাজমুল হক প্রধান এমপি। প্রধান বক্তা ছিলেন ফ্রন্টের মহাসচিব শায়খুল হাদীস অধ্যক্ষ আল্লামা জয়নুল আবেদীন জুবাইর।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও ১৪ দলীয় জোটের প্রধান সমন্বয়ক, স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন-  ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশকে নিয়েই মহাজোট নির্বাচন করবে। ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ স্বাধীনতার চেতনায় বিশ্বাসী ও ইসলামী মূল্যবোধে প্রতিষ্ঠিত মহাজোটের অন্যতম শরিক দল হিসেবে আমরা জানি । শুরু থেকে এই দল মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের প্রধান শক্তি বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সাথে থেকে অনেক আন্দোলন করেছেন এবং এখনো তা অব্যাহত রেখেছেন ।

ইসলামিক ফ্রন্টের চেয়ারম্যানের প্রশংসা করে বলেন- বাহাদুর শাহ নামেও বাহাদুর, কাজেও বাহাদুর, তার কর্মীরাও বাহাদুর।

‘সাংবিধানিকভাবে ক্ষমতায় যেতে হলে নির্বাচনের বিকল্প নেই। নির্বাচনের বিকল্প নির্বাচন। নির্বাচনে জনগণের রায় মেনে নেবো। নির্বাচন হবে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ। নির্বাচনের সময় প্রশাসনসহ সকল সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারি নির্বাচন কমিশনের নিয়ন্ত্রণে চলে যাবে। স্বাধীনভাবে কাজ করবে নির্বাচন কমিশন –বলেন আওয়ামী লীগের এই শীর্ষ পর্যায়ের নেতা।

জাতীয় ঐক্যের সমালোচনা করে নাসিম বলেন, রাজনীতি থেকে ছিটকে পড়া, গণবিচ্ছিন্ন তথা হতাশাগ্রস্থ কতিপয় সুবিধাবদীদের নিয়ে কথিত জাতীয় ঐক্য হয়েছে। এই ঐক্য আগামী নির্বাচনে কোন প্রভাব ফেলবে না। জাতীয় ঐক্যের নামে কোন প্রকার বিশৃংখলাকেও প্রশ্রয় দেওয়া হবে না’।

ইসলামিক ফ্রন্টের চেয়ারম্যান আল্লামা সৈয়দ মুহাম্মদ বাহাদুর শাহ মোজদ্দেদী বলেন, মুক্তিযুদ্ধের গৌরবময় চেতনা ও স্বাধীনতার মূল্যবোধকে নিঃশর্তভাবে ধারণ করে ইসলামের শ্বাশত আদর্শের সমন্বয়ে ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ এদেশে একটি অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় নিরবচ্ছিন্নভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এ ধারাবাহিকতায় আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন নির্বাচনী জোটের অধীনে ইসলামিক ফ্রন্ট আগামী নির্বাচনে অংশ নেবে।’ তিনি জোটের কাছে ২০টি আসন ছেড়ে দেওয়ার দাবি জানান।

ফ্রন্টের মহাসচিব অধ্যক্ষ আল্লামা জয়নুল আবেদীন জুবাইর বলেন, দেশের স্বার্থে ইসলামিক ফ্রন্ট আওয়ামী লীগের সাথে আছে। অতীতে যুগপৎ আন্দোলন-সংগ্রামেও ছিল। ২০০৮ সালের দশম নির্বাচনে মহাজোটের অন্যতম শরীক দল হিসেবে নিঃশর্ত সমর্থন দিয়ে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত করতে ইসলামিক ফ্রন্ট ভূমিকা রাখে’।
দলের যুগ্ম মহাসচিব এম সোলায়মান ফরিদের পরিচালনায় সংলাপে দলের ভাইস চেয়ারম্যান পীর সৈয়দ নাছেরুল হক চিশতী, অধ্যক্ষ আল্লামা এস. এম ফরিদউদ্দীন, অধ্যক্ষ কাজী আনোয়ারুল ইসলাম খান, খাজা আরিফুর রহমান তাহেরী, আল্লামা মোশাররফ হোসাইন হেলালী, সাংগঠনিক সচিব অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, অর্থ সচিব অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ শাহীদ রিজভী, ইসলামী ছাত্রসেনার কেন্দ্রীয় সভাপতি এম এম নাঈম উদ্দীন, সেক্রেটারী এস এম গোলাম হায়দার হাসিব উপস্থিত ছিলেন।

 

[related_post themes="flat" id="1016"]