‘বাজেট বাস্তবায়নে সংশয় রয়েছে’ – ইসলামিক ফ্রন্ট মহাসচিব অধ্যক্ষ আল্লামা জুবাইর
ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ’র কেন্দ্রীয় মহাসচিব অধ্যক্ষ আল্লামা জয়নুল আবেদীন জুবাইর বলেছেন, ২০১৭-১৮ সালের প্রস্তাবিত বাজেট মূলত অতীত বাজেটগুলোর ধারাবাহিকতা। এতে বৈষম্য কমানো বা বিনিয়োগ বাড়ানোর যথেষ্ট উদ্যোগ নেই। এবারকার বাজেটে ঘাটতি থাকছে জিডিপির ৫.৪ শতাংশ। চলতি বাজেটের তুলনায় এবার বাজেটে উন্নয়নে বরাদ্দ বাড়লেও অর্থ সংস্থানের জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে যাওয়ায় তা বাস্তবায়ন নিয়ে সংশয় থাকছে। এ ছাড়াও রাজস্ব আদায় জোরদার করতে অর্থমন্ত্রী নতুন ভ্যাট আইন কার্যকর করার ঘোষণা দেন। যার প্রভাবে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পাওয়ার সমূহ আশংকা রয়েছে। প্রস্তাবিত বাজেটে ৭.৪ শতাংশ উচ্চ প্রবৃদ্ধি অর্জনের যে লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে, তা অর্জনে বাড়তি যে বেসরকারি বিনিয়োগ প্রয়োজন তার কোন সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যমাত্রা নেই বাজেটে।
এম. সোলায়মান ফরিদ বলেন, রমজান এমন এক প্রশিক্ষণ ব্যবস্থা যা গ্রহণ করে মানবিক মূল্যবোধে বলীয়ান হওয়া যায়। আত্মশুদ্ধি লাভ হয়। সংযমী হওয়া যায়। সর্বোপরী আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করা সম্ভব। সিয়াম সাধনার মাধ্যমে মানুষের প্রচণ্ড নৈতিক শক্তির বিকাশ ঘটে থাকে।
আলহাজ খোরশেদ আলম সুজন বলেন, মানুষকে ঐশ্বরিক গুণে গুনান্বিত করে তোলাই রোজার উদ্দেশ্য। রমজান শুধু মুসলমানদের জন্য নয়, সকল জাতি গোষ্ঠীর জন্য কল্যাণ স্বরূপ। এ রমজানের মাধ্যমে নাপিত, ধোপা, কামার কুমারসহ সকল শ্রেণী পেশার মানুষ নানা ভাবেই উপকৃত হয়ে থাকে। সুতরাং রমজানের শিক্ষাকে ধারণ করেই জাতীয় জীবনে একটি সুন্দর, সুস্থ, স্থিতিশীল ও মানবিক মূল্যবোধের সমাজ বিনির্মান করা অধিকতর সম্ভব।
ইসলামিক ফ্রন্টম বাংলাদেশ, চট্টগ্রাম মহানগর কর্তৃক আয়োজিত রমজানের তাৎপর্য শীর্ষক আলোচনা ও ইফতার মাহফিলে নেতৃবৃন্দ উপরোক্ত মতপ্রকাশ করেন। এতে সভাপতিত্ব করেন, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ, চট্টগ্রাম মহানগরের সভাপতি আলহাজ এইচএম মুজিবুল হক শুক্কুর। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন দলের কেন্দ্রীয় মহাসচিব অধ্যক্ষ আল্লামা জয়নুল আবেদীন জুবাইর। উদ্বোধক ছিলেন শাহজাদা আতিকুল মিল্লাত কুতুবী। প্রধান বক্তা ছিলেন যুগ্ম মহাসচিব এম. সোলায়মান ফরিদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন যুগ্ম মহাসচিব অধ্যক্ষ আনোয়ারুল ইসলাম খান এবং বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ, চট্টগ্রাম মহানগর সহ-সভাপতি আলহাজ খোরশেদ আলম সুজন।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, হাফেজ মো. আমিন, অধ্যক্ষ ইব্রাহিম আকতারী, আব্দুর রহমান মান্না, মাওলানা রফিকুল ইসলাম তাহেরী, এম. মহিউল আলম চৌধুরী, অধ্যক্ষ সৈয়দ আবু ছালেহ, মাওলানা জানে আলম নিজামী, মাওলানা মো. নাছির, ডা. হাসমত আলী তাহেরী, মাওলানা নিজামউদ্দিন নোমানী, ইলিয়াছ খান ইমু, মাওলানা মহিউদ্দিন তাহেরী, ফয়সাল নেওয়াজ, এ্যাডভোকেট জসিম উদ্দিন মাহমুদ, কাজী সোলতান আহমদ, এম. ইউসুফ কবির, মনির উদ্দিন, আব্দুল্লাহ্ আল মামুন এবং শহীদুল ইসলাম প্রমুখ।
–