সংবিধান থেকে “রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম” বাদ দেয়ার সকল ষড়যন্ত্র রুখে দেবে দেশের ধর্মপ্রাণ জনগণ- ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ
ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ এর চেয়ারম্যান ও মহাসচিব যথাক্রমে পীরে তরিকত হযরতুলহাজ্ব আল্লামা সৈয়দ বাহাদুর শাহ মোজাদ্দেদী ও অধ্যক্ষ আল্লামা জয়নুল আবেদীন জুবাইর সংবাদপত্রে প্রদত্ত এক যুক্ত বিবৃতিতে বলেছেন- সংবিধানে সন্নিবেশিত “রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম” এটি একটি মিমাংসিত বিষয়। এ বিষয়ে দায়েরকৃত একটি রিট আবেদন মহামান্য আদালতে খারিজ করা হলেও দীর্ঘ ২৮ বছর পরে এ নিয়ে নতুন বিতর্কের জন্ম দেয়াটা নিতান্তই অমূলক। সংবিধান থেকে “রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম” কে বাদ দেয়ার ধূম্রজাল সৃষ্টি করে সুদীর্ঘ দিনের প্রতিষ্ঠিত এদেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করতে একটি চিহ্নিত মহল ঘৃণ্য ষড়যন্ত্র করছে বলে মন্তব্য করে নেতৃবৃন্দ হুশিয়ারী উচ্চারন করে বলেন- সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের ভাষার অধিকার কেড়ে নেয়ার ষড়যন্ত্র হয়েছিল বলে, যে দেশের অকুতোভয় সন্তানেরা বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়ে গৌরবদ্বীপ্ত ১৯৫২ এর একুশে ফেব্রুয়ারি সৃষ্টি করেছিল, ঠিক সংখ্যাগরিষ্ট মানুষের ধর্মের বিরুদ্ধে যে কোন চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্রকেও রক্ত মূলে নস্যাৎ করে দেবে এ দেশের ধর্মপ্রাণ জনগণ। হিন্দু, বৌদ্ধ, খৃষ্টান ঐক্য পরিষদ নামক একটি সাম্প্রদায়িক গোষ্টি রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম এর কারনে সংখ্যালঘুরা নির্যাতিত হচ্ছে বলে যে অবান্তর গুজব ছড়িয়ে দেশের শান্তি-শৃংখলা নষ্ট করতে উঠে পড়ে লেগেছে, তাদের উদ্দেশ্যে নেতৃবৃন্দ বলেন, মুসলিম কমিউনিটিকে বাদ দিয়ে হিন্দু, বৌদ্ধ, খৃষ্টান ঐক্য পরিষদ গঠন করাই তো সম্প্রদায়িতকতার অনন্য নজির। সামাজিক ঘটনা প্রবাহের অংশ হিসেবে কোথাও কোন সংখ্যালঘু সংঘর্ষের শিকার হলেও একারণে ঢালাওভাবে সকল মুসলমানকে দায়ী কখনোই যৌক্তিক হতে পারে না। বরং িন্তু অপেক্ষাকৃত মুসলমানরাই নির্যাতিত হয়েছে সর্বাধিক। অতএব, এধরনের কল্পনাপ্রসূতঃ গুজব ছড়ানোর মাধ্যমে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার এর হীন প্রচেষ্টা ও সংবিধান থেকে “রাষ্ট্র ধর্ম ইসলাম” কে বাদ দেয়ার যে কোন ষড়যন্ত্র রুখে দেবে এদেশের ধর্মপ্রাণ জনগণ। বুকের তরতাজা রক্ত ঢেলে দিয়ে “রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম” বাতিলের ষড়যন্ত্র রুখে দিতে ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ সর্বাত্মক জেহাদের ডাক দেবে।।
[related_post themes="flat" id="160"]