জঙ্গীবাদের পৃষ্টপোষক জামায়াত-হেফাজতীদের বিরুদ্ধে সম্মিলিত প্রতিরোধ গড়ে তুলুনঃ ইসলামিক ফ্রন্টের বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা
ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের চট্টগ্রাম নগর সভাপতি আলহাজ¦ এইচ এম মুজিবুল হক শুক্কুর বলেছেন,- সম্প্রতি বাংলাদেশ আহলে সুন্নত ওয়াল জামাতের একটি সুন্নী সমাবেশে যোগদানের পথে অভিশপ্ত জঙ্গীবাদের হোতা, কুখ্যাত হালাকু চেঙ্গিস খানের প্রেতাত্মা, দেশের স্বাধীনতা বিরোধী ও ইসলাম বিকৃতকারী অপশক্তি জামায়াত-হেফাজতিদের দোসরদের কর্তৃক ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় যুগ্নমহাসচিব আল্লামা মোশাররফ হোসেন হেলালীর উপর অতর্কিত হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বলেছেন,- মহান স্বাধীনতার সুদীর্ঘ ৪৪ বছর অতিক্রান্ত হলেও অদ্যাবদি এদেশে নানাবিধ দেশ বিরোধী চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্র অব্যাহত রয়েছে। স্বাধীনতা বিরোধী চক্র এখনও এদেশের শ্রেষ্ট অর্জন মহান স্বাধীনতাকে মেনে নিতে পারে নি। লক্ষ-লক্ষ নিরীহ বাঙ্গালীকে নৃশংসভাবে হত্যা করার পরও এদের কোন অনুতাপ কিংবা অনুশোচনার লেশ মাত্রও দৃশ্যমান হয় না। উপরন্তু জাতীয় জীবনে এ অপশক্তির অস্বাভাবিক দৌরাত্ম্য ও অবাঞ্চিত আস্ফালন উদ্বেগজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে লক্ষ্যভ্রষ্ট হচ্ছে কাংখিত অর্জন। বাধাগ্রস্ত হচ্ছে জাতীয় জীবনের সর্বপ্রকার উন্নয়ন-অগ্রগতি। ভুলন্ঠিত হচ্ছে মহান স্বাধীনতার চেতনা ও মূল্যবোধ। তাই জঙ্গীবাদের পৃষ্টপোষক জামায়াত-হেফাজতীদের বিরুদ্ধে সম্মিলিত প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। স্বাধীনতা বিরোধী এ অপশক্তির দৌরাত্ম্য প্রতিরোধ করা না গেলে ৩০ লক্ষ শহীদ মুক্তিযোদ্ধার আত্মদান ও ২ লক্ষ মা-বোনের সম্ভ্রমহানীর মত অমুল্য ত্যাগ বৃথা হয়ে যাবে। তিনি অবিলম্বে আল্লামা বাহাদুর শাহ্ মোজাদ্দেদীর উপর হামলাকারী দুবৃত্তদের আইনের আওতায় এনে গ্রেফতার পূর্বক দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি প্রদানের জন্য সরকারের প্রতি জোর দাবী জানান।
তিনি আরও বলেন,- স্বাধীনতা পরবর্তী এ দেশের রাজনৈতিক দলগুলো নিছক ক্ষমতার মোহে স্বাধীনতা বিরোধী ও ধর্মদ্রোহী নাস্তিকদের পৃষ্ঠপোষকতার মাধ্যমে উত্থান ঘটিয়ে গোটা রাজনৈতিক অঙ্গঁনকে কলুষিত করেছে। কেউ এ নির্লজ্জতার দায় এড়াতে পারে না বলে তিনি মন্তব্য করেন।
স্বাধীনতা বিরোধী এ অপশক্তি রাজনৈতিকভাবে পরাজিত হয়ে দেশে সহিংসতা, নৈরাজ্য, নাশকতা ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে লিপ্ত হয়ে দেশের শান্তি-শৃংখলা বিনষ্ট করছে। দুর্বৃত্তরা ইতোপূর্বে এদেশের অহিংস সুন্নি আন্দোলনের রাজপথের সিপাহসালার লেয়াকত, হালিম, রফিক, সাইফুল ইসলাম, জিতু মিয়া ও বিশিষ্ট মিডিয়া ব্যক্তিত্ব শাইখ আল্লামা নুরুল ইসলাম ফারুকীকে শহীদ করে মাঝপথে সুন্নী আন্দোলনকে স্তিমিত করে দিতে ব্যর্থ প্রয়াস চালিয়েছে। কিন্তুু সুন্নী আন্দোলনের নির্ভীক সৈনিকদের অদম্য বৈপ্লবিক চৈতন্যবোধের নিকট তা বরাবরই হার মেনেছে।
ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ চট্টগ্রাম মহানগরের উদ্যোগে চট্টগ্রাম শহীদ মিনার চত্ত¡রে চট্টগ্রাম নগর ইসলামিক ফ্রন্ট এর উদ্যোগে ইসলামিক ফ্রন্ট নেতা আল্লামা মোশাররফ হোসেন হেলালীর উপর দূর্বৃত্তের অতর্কিত হামলার প্রতিবাদে অনুষ্ঠিত বিশাল বিক্ষোভ মিছিলপূর্ব সমাবেশে সভাপতির বক্তব্য দানকালে তিনি উপরোক্ত মন্তব্য করেন।
ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ চট্টগ্রাম নগর সভাপতি আলহাজ¦ এইচ এম মুজিবুল হক শুক্কুরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন,- ইসলামিক ফ্রন্টের কেন্দ্রীয় নেতা আলহাজ¦ কে এম নুরুল ইসলাম হুলাইনী, চট্টগ্রাম নগর ইসলামিক ফ্রন্টের সহ সভাপতি মাওলানা সেলিম উদ্দীন আনোয়ারী, আবদুর রহমান মান্না, মাওলানা ছালেহ আহম্মদ আনছারী, চট্টগ্রাম নগর ইসলামিক ফ্রন্টের সাধারন সম্পাদক এস এম আবদুল করিম তারেক, ইসলামিক ফ্রন্ট চট্টগ্রাম নগর সিনিয়র যুগ্ন সাধারন সম্পাদক এম মহিউল আলম চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক আলহাজ¦ এম ওয়াহেদ মুরাদ, ইসলামিক ফ্রন্ট চট্টগ্রাম নগর সহ সাংগঠনিক সম্পাদক এ এম মঈনুদ্দীন চৌধুরী হালিম, চট্টগ্রাম নগর ফ্রন্টের দপ্তর সম্পাদক ডাঃ হাসমত আলী তাহেরী, মোহাম্মদ আরমান, হাফেজ মাওলানা আনোয়ারুল ইসলাম খান ও ইসলামী ছাত্রসেনা চট্টগ্রাম নগর সভাপতি আবু ছাদেক ছিটু প্রমুখ।
প্রতিবাদ সভা শেষে এক বিশাল বিক্ষোভ মিছিল শহীদ মিনার থেকে শুরু হয়ে নগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিন করে রেয়াজ উদ্দীন বাজার তিনপুলের মাথায় গিয়ে শেষ হয়।